ভাসমান সেতু, মনিরামপুর, যশোর

ঝাঁপা বাওড়, জেলা প্রসাশক ভাষমান সেতু, বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু । ঝাঁপা ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে ঝাঁপা বাওড়, এই ঝাঁপা বাওড়ে আছে বাংলাদেশের বৃহত্তম দুইটি ভাষমান সেতু ১) জেলা প্রসাষক ভাষমান সেতু ২) বঙ্গবন্ধু ভাষমান সেতু যেটা সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়ানে ঝাঁপা গ্রামের কতিপয় যুবক মিলে (ঝাঁপা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন) ক্লাবের মাধ্যমে তৈরী করেছেন। ঝাঁপা বাওড় ও ভাসমান সেতু বর্তমানে ১ম শ্রেনীর দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যাতম হয়ে পড়েছে। এছাড়া ঝাঁপা বাওড়ে এক বিশেষ প্রকার মাছ জন্মায়, যেটা অন্য কোন নদী, সমুদ্রে বা জলাশয়ে জন্মায় না। মাছটা দেখতে ছোট ইলিশ মাছের আকৃতি। মাছটার নাম হল খয়রা মাছ। মাছটার রং উজ্জল রুপালী। মাছটা খেতে খুব সু-স্বাদু। তবে বিভিন্ন ছুটিতে যেমন ঈদ,পূজার মত বড় বড় অনুষ্ঠানে দুর দুরন্ত থেকে পর্যটক, স্থানীয় যারা বাইরে থাকে বাড়িতে এস আসে নৌকা ভ্রমন, ট্রলার ভ্রমন, বৃহত্তর বাওড়ে গোসল, সাতার প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন নেয়। মধু কবি মাইকেল মধুসুধনের মাতৃদুগ্ধ স্রোতরুপী, কালের স্বাক্ষী বহনকারী কপোতাক্ষ নদের সাথে জড়িত যশোর জেলার, মনিরামপুর উপজেলার, ০৯ নং ঝাঁপা ইউনিনের বৃহত্তর ঝাঁপা বাওড়। যার সিমানা ঘেষে কিনারায় স্থাপিত ঝাঁপা বাওড়ের উপরে রাজগঞ্জ সেন্টার হাইস্কুল, আছে ১ টা মন্দির, একটি শ্বশান। যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলায় ০৯ নং ঝাঁপা ইউনিয়নের রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি একটি সম্পদশালী স্কুল। রাজগঞ্জ বাজারে আছে একটি মডেল মাদ্রাসা, আছে মনোরঞ্জন পরিবেশে স্থাপিত রাজষ্ব্য রাজগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ। শাখা আছে তিন টি, মানবিক, সাইন্স, বি.এম. আরো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব মিলায়ে ০৯ ঝাঁপা ইউনিয়ন শিক্ষা, সাহিত্যে,সংস্কৃতিতে পরিপূর্ন। ঝাঁপা ইউনিয়নে রাজগঞ্জ বাজারে আছে একটি থানা। বর্তমানে সেটা মিনি থানা নামে পরিচিত। ঝাঁপা গ্রামে আছে একটি পুলিশ ফাড়িঁ। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব মোটা মুটি ভালভাবে পালন করে। কিভাবে যাওয়া যায়: যাতায়াত মাধ্যম বাস, মটর সাইকেল, ভ্যানগাড়ী ইত্যাদি।